ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

জেলার প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে জনবল সংকট

কক্সবাজার প্রতিনিধি :::
কক্সবাজার জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে পর্যাপ্ত জনবল নেই দীর্ঘদিন ধরে। শূণ্য রয়েছে ১৫৯ টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ। এছাড়াও  সহকারি শিক্ষকের ৬২২ টি পদে কোন শিক্ষক কর্মরত নেই। এই অবস্থায় জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বিঘিœত হচ্ছে। স্বাভাবিক শিক্ষা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলায় মোট প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬২৯টি। এর মধ্যে সরকারি ৩৭৬টি, নতুন জাতীয়করণকৃত ২২৯টি ও বিশেষ প্রকল্পের অধীনে চালুকৃত বিদ্যালয়ের সংখ্যা হচ্ছে ২৪টি। প্রাথমিক ও ইবতেদায়ীতে জেলায় মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৬৮৯ জন। শিশু শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী রয়েছে ৪ লাখ ৩২ হাজার ৭১৩ জন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংযুক্ত ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৯৭৬ জন।
সূত্র মতে, জেলার বিভিন্ন শ্রেণীভুক্ত মোট ৬২৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষকের মজ্ঞুরীকৃত পদের সংখ্যা হচ্ছে ৩ হাজার ৯২৫টি।  এর মধ্যে বর্তমানে কর্মরত সহকারি শিক্ষক রয়েছে ৩ হাজার ৩০৩ জন। সহকারি শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে ৬২২টি। অপরদিকে জেলায় প্রধান শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে ১৫৯টি। প্রধান ও সহকারি শিক্ষক মিলিয়ে ৮৮১ টি পদ শূণ্য থাকায় জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অভিভাবক ও সচেতন মহল।
সচেতন মহল বলছেন, সরকারের প্রায় সকল বড় বড় কর্মসূচিগুলোর মাঠ পর্যায়ের কাজ করানো হয় প্রাথমিক শিক্ষকদের দিয়ে। আদমশুমারী, ভোটার তালিকা তৈরি, রোহিঙ্গা নাগরিক শুমারীসহ  সকল পর্যায়ের ভোট গ্রহণ কার্যক্রম করেন তারা। এর উপর প্রবল শিক্ষক সংকটের বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সংকটকে আরো ভারী করে তুলেছে।
শিক্ষক সংকটের বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, শূণ্যপদে শিক্ষক নিয়োগ ও পদায়নের জন্য কর্তৃপক্ষ বরাবরে নিয়মিত পত্র প্রেরণ করা হচ্ছে। আশা করা যায়, শিগগিরই শিক্ষক সংকটের সমাধান হবে।

পাঠকের মতামত: